ইতিহাসঃ
বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামে অবস্থিত আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। একটি দেশের কাঙ্খিত আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের অবদান অপরিসীম। দেশের ৭৫ ভাগ রপ্তানি বাণিজ্য এবং ৮০ ভাগ আমদানি বাণিজ্য চট্টগ্রামের উপর দিয়ে সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রামে রয়েছে অসংখ্য ছোট, মাঝারি এবং বড় শিল্প কারখানা। ১৯৪০ সালে ভারতবর্ষের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের উপর প্রথম নিয়ন্ত্রণের সূচনা হয় । ১৯৪৮ সাল থেকে আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অফিস আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ, সহজিকরণ, সেবাদান এবং রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং ব্যবসা সহজিকরণের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদক্ষেপে আমদানি ও রপ্তানি দপ্তর পুনর্গঠনের পর থেকে অদ্যাবদি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক দপ্তর নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অফিস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী, ফেনী এবং লক্ষীপুর জেলা অত্র দপ্তরের আওতাধীন। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যশস্য, কৃষি উৎপাদন, শিল্পের মেশিনারী, কাচাঁমাল ও যন্ত্রাংশ, জ্বালানী এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বৃহৎ অংশ আমদানির মাধ্যমেই মিটানো হয়। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত এ অঞ্চলের আমদানি ও রপ্তানি সেবা প্রদানে অত্র দপ্তরের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়া সরকারী রাজস্ব আদায়ে অত্র দপ্তর অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
মিশনঃ
বর্তমান বিশ্বব্যাপী অনুসৃত মুক্তবাজার অর্থনীতি ও ডব্লিউটিও ফ্রেমওয়ার্কের আলোকে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত নীতি-পদ্ধতি সহজীকরনের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারন এবং দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষনসহ শিল্প বিকাশের মাধ্যমে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ।
ভিশনঃ
ব্যবসা বাণিজ্য উদারীকরণ, সহজিকরণ এবং সরকারের রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা।